About Hospital

সুধীমন্ডলী,
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সাহায্যে নির্মিত ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল ও অন্ধ পুনর্বাসন কেন্দ্রের নতুন ভবনে আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছিলাম ২০০৩ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে । ভবন নির্মানের পাশাপাশি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে কিছু যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র পেয়েছি। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে ইতোমধ্যে ফ্যাকো মেশিন, মাইক্রোসকোপ, আইওপি মেশিন, অটোরেফ ক্যারোটোমিটার, বায়োমেট্রি মেশিন ও ডিজিটাল ভিশন বক্স সংগ্রহ করে চক্ষু রোগী সেবার মান বৃদ্ধি করে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি ফলে চক্ষু হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান এই রোগীর চাপ মোকাবেলার জন্য আমরা সব সময় সচেষ্ট এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছি । হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোর বিভাগ সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে। এ বিভাগগুলি আরও কার্যকরী ও গতিশীল করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল দরিদ্র মানুষের ভরসার কেন্দ্র।

 

কর্মস্পৃহা আর সৎ চেষ্টা থাকলে যে অসাধ্য সাধন করা যায়, তারই একটি বাস্তব দৃষ্টান্ত ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল ও অন্ধ পুনর্বাসন কেন্দ্রটি। আশপাশের জেলায় এ ধরনের সেবা ধর্মী প্রতিষ্ঠানগুলো যখন যোগ্য নেতৃত্ব ও অর্থ সংকটে বন্ধ প্রায়, তখন ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি বসিয়ে নির্বিঘ্নে সেবা দিয়ে যাচ্ছে এই এলাকা এবং বিভিন্ন জেলা হতে আগত চক্ষু রোগীদের। শুধু তাই নয় দূর দূরান্ত জেলা থেকে রোগীরা আসছেন চোখের অপারেশন করাতে। বলা যায় ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল এখন হতদরিদ্র গরিব মানুষের একমাত্র ভরসার কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসক এবং হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল ও অন্ধ পুনর্বাসন কেন্দ্রটি নিয়ে আমরা গর্ব করি। তাই আসুন চোখকে অবহেলা না করে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করি। অন্ধ হতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে মানুষের মাঝে আমি সুন্দর ভুবন দেখিবার চাই।